আমরা যখন আধ্যাত্মিকতার পথ খুঁজি, তখন বারবার প্রশ্ন করি, কোন পথ সবচেয়ে সহজ? সুফিবাদ, হিন্দু দর্শন, বৌদ্ধ ধ্যান, বা আধুনিক মেডিটেশনের পথে অনেকেই হাঁটে। তবে বাংলার মাটিতে এমন একজন পথপ্রদর্শক ছিলেন, যিনি নিজেকে কোনো ধর্ম, সম্প্রদায় বা দর্শনের মধ্যে ফেলে […]
বাংলা উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক ইতিহাসে ‘গুরু’ শব্দটি বহুবিধ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কোথাও তিনি এক পরম শক্তির প্রতিনিধি, কোথাও বা একজন মানবিক পথপ্রদর্শক। কেউ কেউ গুরুকে অন্ধভাবে মানেন, আবার কেউ তাঁর মাধ্যমেই নিজেকে খুঁজে ফেরেন। ফকির লালন শাহ সেই দ্বিতীয় পথের প্রবক্তা। […]
আজকের দিনে আধ্যাত্মিকতার নামে অনেকেই নিজেদেরকে “নতুন পথপ্রদর্শক”, “সত্যের বাহক”, এমনকি “জীবন্ত ধর্মগ্রন্থ”-এর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেন। তারা কখনোই সরাসরি বলেন না “আমি নবী”, কিংবা “আমি নতুন ধর্ম দিচ্ছি”। তারা বলেন, “আমি শুধু পথ দেখাচ্ছি”, “আমি কথা বলি না, আমার […]
একজন বললেন, “আধ্যাত্মিক সাধনায় গুরু থাকা বাধ্যতামূলক। যার গুরু নাই, সে ভূল পথে হাঁটে। হয়তো ভাল মানুষ হবে, কিন্ত তার মুক্তি হবেনা।”তার কথা অনুযায়ী, মুক্তি মানে হলো এমন এক চূড়ান্ত অবস্থা যেখানে আর কোনো পুনর্জন্ম নেই, আর কোনো ঘুরে ফিরে […]