যে গাছ গান গায়

প্রতিদিন সন্ধ্যা যখন ধীরে ধীরে নেমে আসে, ঠিক তখনই একটা অদ্ভুত ডাক অনুভব করি। কেউ মুখে কিছু বলে না, কেউ ফোনও করে না, তবু একটা অলৌকিক ব্যাপার টেনে নিয়ে যায় পুরোনো দানবাকৃতির কড়ই গাছটার নিচে।

গাছটা বিশাল, পাঁচ-ছয়টা মানুষ একসাথে হাত ধরেও জড়িয়ে ধরতে পারবে না। ডালগুলো এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যেন একটা দৈত্য তার বাহু মেলে রেখেছে সবাইকে আগলে রাখার জন্য। ওই গাছটার নীচেই আমাদের গানের আড্ডা জমে প্রতিদিন।

আমরা অনেস্বর, গানের দল। কেউ বলে গানের পাগল, কেউ বলে বাউলের ছায়া।

আমি নওসাদ, হাত বায়া বাজাই। শুধু হাত বায়া নয়, শব্দও গেঁথে রাখি। এই গল্পটাও আমি গেঁথে রাখছি আমাদের সবার জন্য।

অর্জুন কাহন বাজায়। তার গানে একরকম সুর লুকিয়ে থাকে; চোখে দেখা যায় না, তবুও মনে লাগে। সে একেকদিন গান শুরু করে এমনভাবে যেন আমরা সবাই একসাথে অন্য কোনো গ্রহে চলে গেছি।

সায়েম দোতারা বাজায়, ইদানীং একটু আধটু গায়ও। একদিন বলল, “ভাই, দোতারার সুর যতটা গভীর, মানুষের মুখ ততটা বিশ্বস্ত না।” আমি হেসে বলেছিলাম, “মানুষের মুখ তো মুখোশে ঢাকা, দোতারার সুরে কোনো ছদ্মবেশ থাকে না।!”

সাকিব আমাদের মূল ভোকাল। আগে একদিনও মিস করত না। এখন বলে, সময় নাই, ফ্যামিলি মেইন্টেইন করতে সময় চলে যায়। অথচ তার গলার জোরে গাছের পাতা পর্যন্ত কেঁপে উঠত একসময়। আর এখন সে আসেই অনেক কম। আমরা কিছু বলি না, কিন্তু তার জায়গাটা আজও খালি রাখি।

শিফাত বেজ বাজায়, কিন্তু স্বপ্ন দেখে গীটার নিয়ে। একটা গীটার কিনবে কিনবে করছে অনেকদিন ধরেই, যেন সেটা তার প্রথম প্রেম। বাজাতে পারে না আকাশের মত, কিন্তু চেষ্টার অভাব নেই। কেউ তাকে থামায় না, কারণ আমরা জানি একটা অসম্পূর্ণ স্বপ্নের মধ্যেও যে সুর লুকানো থাকে, তা নিঃশব্দে নিজের সাথেই কথা বলে।

মাইশা আপু, যার একটানা হারমোনিকা বাজানো শুনলে মনে হয় বাতাসও থেমে যায়। কোক স্টুডিওর “মুড়ির টিন” গানে বাজিয়ে এক ঝলকে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের কাছে এখনো সেই মাইশা আপু শান্ত, গভীর, আর নরম একজন মানুষ।

রাইফ আগে মন্দিরা বাজাতো। এখন দলের নিয়মিত সদস্য নয়, তবুও হঠাৎ হঠাৎ চলে আসে। কেউ প্রশ্ন করে না কেন, তবুও বুঝি, সে এখনো এই আড্ডারই অংশ। রাইফ এসে চুপ করে বসে থাকে। কথা বলে কম, কিন্তু চোখে থাকে সুরের স্মৃতি যেগুলো আমরা ভুলে গিয়েছি।

আকাশ ঈদের ছুটিতে আসে। তার ফিরে আসা মানেই যেন পুরোনো আমেজ ফিরে আসা। সে এলে সবাই যেন প্রাণ ফিরে পাই।

আকিফ অসাধারণ বাঁশি বাজায়, দুর্জয় চমৎকার ঢোল বাজায়। রাফি দোতারা শিখছে, রিমন খমক শিখছে। এছাড়া আরো অনেকেই আসে, তারা কিছু বাজায় বা গায় না, কেবল চুপ করে শোনে।

কিন্তু সেদিন কিছু একটা অদ্ভুত ঘটেছিল।

সেদিন সন্ধ্যায়, আমরা সবাই যথারীতি গাছের নিচে জড়ো হয়েছি। আমি হাত বায়া নিয়ে বসেছি, সায়েম দোতারা হাতে নিয়েছে। অর্জুন গলার সুর মিলাচ্ছে, দুর্জয় ঢোলে তাল দিচ্ছে, আর আকিফ বাঁশিতে রাগ যোগ বাজাচ্ছে।

সাকিব ছিল না।

হঠাৎ মাইশা আপু বাজানো থামিয়ে বলে উঠল, “তোরা কিছু শুনছিস?”

আমরা তাকিয়ে থাকলাম উনার দিকে। সবাই নীরব। হাওয়ার শব্দ স্বাভাবিক।

মাইশা আপু চোখ বন্ধ করে বললেন, “গাছটা… কিছু একটা গুনগুন করছে।”

আমরা কান পাতলাম। কিছুই শোনা যায় না।

শুধু আমি একটা অদ্ভুত শব্দ শুনলাম, হাত বায়ায় ঠক ঠক করে কেউ যেন টোকা দিচ্ছে ভেতর থেকে।

আমার রক্ত হিম হয়ে গেল।

অর্জুন তখন বলে উঠল, “সবাই গাছের দিকে তাকাও।”

সত্যিই, গাছের গায়ে একটা আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে।

না, চাঁদের আলো নয়, যেন গাছের ভেতর থেকেই আলোটা বের হচ্ছে।

আমরা থমকে গেলাম! কেউ কিছু বলছে না।

সায়েম বলল, “এই গাছটা কি… গান ধরেছে?”

তারপরই ঘটে গেল সেই অলৌকিক ঘটনা, গাছটা হঠাৎ একটা শব্দ করল।

কোন মানুষের ভাষায় নয়। একটা স্পন্দনের মতো, যেন মাটির নিচ থেকে আসছে, ধীরে ধীরে আমাদের বুক পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।

আমি বায়া হাতে নিয়ে বাজাতে শুরু করলাম। অর্জুন কাহনে তাল দিল। সায়েম দোতারায় একটা টানা সুর ধরল।

আর গাছটা? গাছটা যেন প্রতিধ্বনি দিচ্ছে আমাদের সুরের।

সেই সন্ধ্যায় আমরা গাইলাম না, আমরা শুধু বাজালাম। আর গাছটা… যেন সেই সুর নিজের মধ্যে রেখে দিচ্ছিল।

আমরা জানি না, কি হচ্ছে।
আমরা জানি না, কেন হচ্ছে।
শুধু জানি, সেদিন থেকে কিছু একটা বদলে গেছে।

সেদিনের পর থেকে যেন সবকিছু একটু একটু করে পাল্টাতে লাগল।

গাছটা আর আগের মতো চুপ থাকত না। সন্ধ্যা নামলেই তার ভেতর থেকে একটা নরম সুর ভেসে আসতো, চোখে দেখা যেত না, কিন্তু কান আর মনের মাঝামাঝি কোথাও একটা অনুভব করা যেত।

সায়েম একদিন এসে বলল, “আমি এখন আর দোতারায় নিজে কিছু বাজাই না। আমি শুধু শুনি, ওই গাছটাই বাজায় আমাকে দিয়ে।”

আমি জানি, কথাটা অদ্ভুত। কিন্তু ওর বাজানোর মধ্যে একটা নতুন ধরনের গভীরতা এসেছে। আগে যেটা ছিল সাধনার ফল, এখন সেটা যেন কোনো অজানা উৎস থেকে আসছে।

মাইশা আপু তার হারমোনিকা নিয়ে আর কোনো নতুন সুর দিচ্ছে না, বরং পিয়ানিকা বাজাচ্ছেন। সেইগুলো এমনভাবে মিলে যাচ্ছে গাছের ভেতরের অদৃশ্য সুরের সঙ্গে, যেন আগে থেকেই ঠিক করে রাখা।

এমন সময় এক সন্ধ্যায় হঠাৎ সাকিব এল।

সে চুপচাপ এসে বসল, কিছুই বলল না। অর্জুন জিজ্ঞেস করল, “তুমি হঠাৎ?”

সাকিব মাথা নাড়ল। বলল, “ঘুমাতে পারছি না ক’দিন থেকে, প্রতিটা দিন মনে হচ্ছে একেকটা বছর। চোখ বন্ধ করলেই একটা গানের সুর শুনি, খুব পরিচিত। আমাকে বোধহয় এই গাছটাই ডেকে নিয়ে আসলো এখানে।”

আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম!

সাকিব খমক হাতে নিয়ে আস্তে আস্তে গাইতে শুরু করলঃ

“আয়রে আয়, অন্তরে আয়
গান হয়ে আয়, প্রাণ হয়ে আয়…”

আর গাছটা যেন হঠাৎ সেই গান চিনে ফেলল!

আমরা সবাই অনুভব করলাম, মাটির নিচ থেকে একটা আলো উঠতে শুরু করেছে। মৃদু, দপদপে, যেন একটা প্রাণ গাছের ভেতর দিয়ে আকাশের দিকে উঠছে।

আমরা একসাথে গেয়ে উঠলাম।

গানটা শেষ হতেই, গাছের গোড়ায় মাটিতে কিছু একটা জ্বলে উঠল।

সেখান থেকে আমরা খুঁড়ে বের করলাম একটা পুরোনো কাঠের বাক্স। ভেতরে ছিলঃ

১) একটা অদ্ভুত দোতারা, যার তারগুলো রূপার মতো ঝকমক করছিল।
২) একটা মাটির পুঁথি, যার ভাষা আমরা কেউ পড়তে পারলাম না।
৩) আর একটা কাগজ, তাতে লেখা, “গান শুধু শব্দ নয়, এটা একটা দরজা। দরজা খুললে তুমি হয় হারাবে, নয় খুঁজে পাবে নিজেকে।”

আমাদের ভেতরে একটা অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল।

অর্জুন বলল, “এই দোতারাটা বাজিয়ে কেউ একদিন গেয়েছিল। সেই গান এতটা গভীর ছিল যে গাছ সেইটা নিজের ভেতরে রেখে দিয়েছে।”

সায়েম দোতারাটা হাতে নিল, মুখে কিছু বলল না।

সাকিবের চোখে যে ভয়টা ছিল এতদিন, সেটা মিলিয়ে গেল। সে একটা গান ধরলঃ
“মন গেছেরে খাঁচার বাইরে
ডেকে চলে ডাকে কে রে…”

আমরা কেউ তাকে শিখাইনি এই গান। কেউ কোনোদিন এই গানে রেওয়াজও করিনি।

তবু আমরা সবাই কাঁপতে কাঁপতে গলা মেলালাম, কারণ মনে হলো আমরা এই গান বহু জন্ম ধরে গাইছি।

সেই সন্ধ্যা ছিল আমাদের জন্য একটা ভাঙার আর গড়ার মুহূর্ত।

আমরা বুঝলাম, এই গাছটা কোনো সাধারণ গাছ নয়। এটা যেন একটা “সাধনাগাছ” যেখানে গান জমা হয়, ধ্বনি জন্ম দেয় নতুন সত্য, আর মানুষ তার হারানো আত্মাকে খুঁজে পায়।

সেই থেকে আমরা আর আগের মতো গান করিনি।

আমরা গানের মাধ্যমে সাধনা শুরু করেছি। কেউ গায়, কেউ শোনে, কেউ শুধু গাছের দিকে তাকিয়ে চুপ থাকে।

আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্য?

রাইফ ফিরে এসেছে, গোপনে।

সেদিন সন্ধ্যায় আমি তাকে দেখলাম, চুপচাপ বসে আছে। মুখে কিছু বলছে না, হাতে মন্দিরা।

আমরা যারা হারিয়ে যাই, তারা একসময় আবারো গানের মাধ্যমে ফিরে আসি।

আর এই কড়ই গাছ? সে হয়তো সেই ফেরানোর রাস্তাটা জানে।

তারপর কিছুদিন ধরে গাছটার আচরণ আরও অদ্ভুত হয়ে উঠেছিল।

প্রতিদিন সন্ধ্যায়, যখন প্রথম বায়া-দোতারা-কাহন একসাথে বাজে, তখনই গাছের ডাল থেকে পাতা ঝরে পড়ে, যেন আমাদের আশীর্বাদ করছে। সেই পাতা কারও গায়ে পড়লে, সে যেন এক ধরণের ঘোরের মধ্যে চলে যায়, একটা গভীর অনুভবের মধ্যে, যেখানে অতীত-বর্তমান সব একসাথে মিশে থাকে।

সাকিব এখন আবার নিয়মিত আসে। কিন্তু সে আর আগের মতো গান গায় না, সে এখন গান “পড়ে”।

সে বলে, “গান আমি বানাই না রে ভাই। এটা তো আগে থেকেই লেখা। আমি কেবল পড়ে শোনাই।”

একদিন সন্ধ্যায় আমরা সবাই গাছের নিচে বসলাম। আজ আকাশও এসেছে। আকাশ বলল, “তোমরা জানো? এই কড়ইগাছটা অনেক পুরোনো। আর লোককথা চালু আছে যে কোন পুরোনো কড়ই গাছের নিচে যদি সত্যিকারের সঙ্গীতসাধকরা একসাথে গান করে, তাহলে কড়ইগাছ তাদের ‘আত্মা’ ধারণ করে।”

রাফি হেসে বলল, “তাহলে গাছটা এখন আমাদের আত্মা ধারণ করে ফেলেছে?”

আকাশ মাথা নাড়ল, “না রে ভাই, গাছটা এখন আমাদের ভবিষ্যৎ ধারণ করছে।”

ওর কথা প্রথমে ধোঁয়াটে লাগলেও, পরে একটা ঘটনার পর সবাই থমকে গেল।

সেদিন রাত দশটার দিকে আমরা একটা পুরোনো গানের রেওয়াজ করছিলাম। হঠাৎ গাছের গায়ে আগের সেই আলোর রেখা ভেসে উঠল। কিন্তু এবার সেটা একটা লিপির মতো হয়ে উঠল।

একটা অদ্ভুত ভাষায় লেখা, কিন্তু মাইশা আপু হঠাৎ বলল, “এই লেখা আমি দেখেছি। কোক স্টুডিওতে এক পাকিস্তানি সুফি শিল্পীর স্টুডিও নোটে এই লিপি ছিল।”

লিপিটার পাশে একটা সুর ভেসে উঠল, আকাশে ভেসে থাকা শব্দ, কিন্তু গঠন একদম গানের মতো। কেউ গাইছে না, বাজাচ্ছে না, তবু সেই সুর আমাদের মাথার ভেতরে বাজছিল।

আমরা সবাই চুপচাপ বসে ছিলাম, চোখ বন্ধ করে।

হঠাৎ আমার মনে হল আমি আর আমি নেই। আমি যেন অন্য কারো জীবন দেখছি।

এক পুরোনো বাউল, নামহীন, দিগন্তের দিকে হাঁটছি। পেছনে কেবল মাত্র একটা কড়ইগাছ, তার নীচে কিছু গানপাগল মানুষ, গান গাচ্ছে, যন্ত্র বাজাচ্ছে।

আমি চোখ খুললাম। বাকিরা চুপ। কেউ কিছু বলছে না।

শিফাত ফিসফিস করে বলল, “আমরা কি আসলে এই গাছটার পুরোনো গানের স্মৃতি?”

সায়েম অবাক হয়ে তাকাল।

অর্জুন বলল, “মানে?”

শিফাত বলল, “যদি ধরে নিই, এই গাছ স্মৃতি ধারণ করে বা আত্মা ধারণ করে, তাহলে কি আমরা সেই গানগুলো যা আগে কেউ গেয়ে গিয়েছিল, তাদেরই নতুন অবতার?”

সাকিব চুপচাপ বলল, “আমার একটা স্বপ্ন আসে মাঝে মাঝে, আমি এক নৌকায় বসে গান গাচ্ছি, পেছনে একটা কড়ইগাছ। আশেপাশে কেউ নেই। কেবল আমি, গাছ, আর নদী। হয়তো আমি সেই গানেরই অংশ, যেটা কেউ সেই কড়ইগাছটার ভেতরে রেখে গিয়েছে।”

আমরা সবাই চুপ হয়ে গেলাম।

হাওয়া থেমে গেল। তবুও গাছের পাতাগুলো কাঁপছে।

তারপর সেই বাক্সটা আবার খুলে গেল।

ভেতরে এবার আরেকটা কাগজ, তাতে লেখাঃ

“তোরা যারা গান করিস, তোরা গানের মানুষ না; তোরাই গান।”

আমার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেল।

আমরা কেউ কথা বলছিলাম না। কেবল চেয়ে দেখছিলাম একে অন্যের দিকে, যেন জীবনে প্রথমবার একে অপরকে দেখছি।

রাফি হঠাৎ বলে উঠল, “তাহলে আমরা কি জন্মজন্মান্তরের গান? আমাদের কি আবার গাছের মধ্যে ঢুকে যেতে হবে?”

সেদিন আর আমরা কেউ গাইনি, কেউ বাজায়নি। কেবল বসে থেকেছি। গাছও চুপ ছিল।

তবে কিছুক্ষণ পর একটা সুর ভেসে এল। গাছ থেকে ভেসে আসা সেই সুর যেন বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছিল।

আর তখনই আমরা বুঝে ফেললাম, আমরা গানের দল নই, আমরা সেই সুর, যেটা চুপচাপ থেকে যুগে যুগে জাগে। আমরা গান হয়ে গেছি। আর এই কড়ইগাছ… আমাদের মধ্যে দিয়ে গায়, বাজায়।

আপনি যদি দিনের বেলায় কড়ই গাছের নিচে যান, অসংখ্য গাড়ী ব্যতীত কিছুই সেখানে থাকবে না।

তবে যদি সন্ধ্যায় যান, আর মন দিয়ে শোনেন, তবে আপনি হয়তো শুনতে পাবেনঃ

একটা হাত বায়ার তালি, একটুখানি হারমোনিকার দীর্ঘশ্বাস, এক গোপন দোতারার টান, কাহনের নিস্তব্ধ ঝংকার, গীটার এর বার্তা, মন্দিরার টুংটাং, বাঁশির আলাপ, আর একটা গলা…

কেউ বলে, ওটা হয়তো নওসাদের লেখা গল্প।
কেউ বলে, ওটা কোনো এক অলৌকিক স্মৃতি।

আর আমি বলি, “ওটাই তো আমরা। আমরা গান, আমরা গল্প, আমরা সেই গাছ যার টানে আত্মা গানে ফেরে।”

Leave a Comment

Let’s make something new, different and more meaningful or make thing more visual or Conceptual ? Just Say Hello ! Contact Icon