সময়: রাতের একাকী নীরব সময়, যখন বাইরের কোলাহল থেমে গেছে।
স্থান: একটি পরিচ্ছন্ন, নির্জন জায়গা যেখানে আপনি নিজের হৃদয়কে স্পষ্টভাবে শুনতে পারবেন।
১. নীরব শুরু (৩-৫ মিনিট)
চোখ বন্ধ করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন।
প্রতিটি শ্বাসে মনে করুন আল্লাহর নাম প্রবাহিত হচ্ছে আপনার হৃদয়ে।
“আল্লাহ…আল্লাহ…”
বিশ্বজগৎ স্তব্ধ, আপনি একা নন এই মুহূর্তে আপনি আল্লাহর করুণার নিচে বসে আছেন।
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন:
“এই জীবনের গভীর অর্থ কী?”
“আমি কী সত্যের দিকে এগিয়ে চলেছি?”
২. আত্ম-পর্যালোচনা ও অনুতাপ (৫ মিনিট)
হৃদয়ে ফিরে যান।
- যেসব মুহূর্তে আপনি ভুল পথে হেঁটেছেন,
- যেখানে আল্লাহকে ভুলে গেছেন,
- যেখানে অন্যকে কষ্ট দিয়েছেন, নিজের সত্তাকেও।
চুপচাপ বলুন:
“হে আল্লাহ, আমি তোমার দিকে ফিরতে চাই। আমাকে গ্রহণ করো।”
ভাবুন, আপনার অন্তরের কালিমা ধুয়ে যাচ্ছে আলোর স্রোতে।
আপনি আর আগের মতো নেই, একটি নতুন আত্মা জেগে উঠছে।
৩. আলোর আহ্বান (৫-৭ মিনিট)
কল্পনা করুন, আকাশ থেকে এক আধ্যাত্মিক আলো ধীরে ধীরে নামছে।
তা আপনার মাথা ছুঁয়ে হৃদয়ে প্রবেশ করছে, আপনার আত্মা আলোকিত হয়ে উঠছে।
এই সময় প্রতিটি মূহুর্তে অনুভব করুনঃ আপনি মুক্ত হচ্ছেন, আপনি হালকা হচ্ছেন, আপনি জেগে উঠছেন।
৪. আত্মার ইচ্ছা প্রকাশ (৩-৫ মিনিট)
এখন মনে করুন:
“আমার আত্মা কী চায়?”
নাম, খ্যাতি, সম্পদ নয়।
হয়তো চায় “আত্মিক প্রশান্তি”, “সত্যের উপলব্ধি”, “ভালোবাসা”, “আল্লাহর নৈকট্য”।
এই এক শব্দটি হৃদয়ে ধরে রাখুন।
এই ইচ্ছা-ই হোক আপনার শবে কদরের নৈবেদ্য।
৫. আত্মসমর্পণ ও নীরবতা (শেষ ৫ মিনিট)
সব শব্দ থামিয়ে দিন।
শুধু বসে থাকুন চোখ বন্ধ করে, হৃৎকম্প শোনার মতো মনোযোগে।
ভাবুন,
“আমি কিছু চাই না, আমি শুধু আল্লাহর হতে চাই।”
“আমি নিজেকে তাঁর হাতে সঁপে দিচ্ছি।”
পরিশেষে
চাইলে আপনি ধ্যানের শেষে নফল নামাজ আদায় করতে পারেন, অথবা কোরআনের একটি আয়াত নিয়ে কিছু সময় ধ্যান করতে পারেন। এই মহান রাত যেন কেবল একটি রাত না হয়, এই রাত যেন হয় আপনার জীবনের বাঁক বদলের রাত।